শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দুর্নীতি ও ব্যর্থতার কারণে রূপগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। বিচারহীনতার কারণেই বারবার এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে।
রবিবার (১১ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুড বেভারেজের সেজান জুস কারখানা পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি উপস্থিত ছিলেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারকে দায়ী করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এসব তদারকি করার জন্য সরকারের যেসব সংস্থা আছে, তাদের দুর্নীতি ও ব্যর্থতার কারণেই এতগুলো প্রাণ ঝরে গেছে। কল-কারখানা অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যদি নিয়মিত পরিদর্শনে আসতেন, তাহলে মালিকপক্ষের অনিয়ম ধরা পড়তো। কিন্তু তারা মলিকপক্ষের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করে এসব পরিদর্শন না করে নীরবে বসে থাকেন। যে কারণে এরকম ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে।
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, মালিকপক্ষও এ দুর্ঘটনার দায় কোনও ভাবে এড়াতে পারে না। মালিকপক্ষকে শুধু গ্রেফতার করলেই হবে না, শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মালিকসহ দায়ীদের কোনও বিচার হয়নি। এই বিচারহীনতার কারণেই বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। একজন মানুষ জীবনে যা আয় করতো, সে অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
জুনায়েদ সাকি বলেন, সরকারের প্রশাসন যন্ত্রের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ যে কাজ করে না, তারই উদাহরণ সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড। কারণ প্রশাসন যন্ত্র যদি সঠিকভাবে মনিটরিং করতো, তাহলে এ ঘটনা ঘটতো না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্তব্যক্তিরা ফ্যাক্টরিগুলো থেকে মাসোহারা আদায় করেন বলেই তারা মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেন না। তাই কোনও অনিয়মও দূর হয় না।
প্রসঙ্গত, রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় আগুনের সূত্রপাত হয়। কারখানার ছয় তলা ভবনটিতে তখন প্রায় চার শতাধিক কর্মী কাজ করছিলেন। কারখানায় প্লাস্টিক, কাগজসহ মোড়কিকরণের প্রচুর সরঞ্জাম থাকায় আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সব ফ্লোরে।